মাহমুদ উল্লাহ-সাকিবের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৭

Voice of Dhaka
আপডেটঃ ডিসেম্বর ১১, ২০২৪ | ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ                             ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
Voice of Dhaka
আপডেটঃ ডিসেম্বর ১১, ২০২৪ | ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ                             ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
Link Copied!

ক্রীড়া ডেস্ক : সিরিজ বাঁচানোর আগেই যেন হার মেনে নিচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়ার্নার পার্কে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে তেমনি চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রথম ওয়ানডেতে ২৯৬ রানের লক্ষ্য দিয়েও যেখানে ৫ উইকেটের বড় পরাজয় দেখতে হয়েছে, সেই মাঠেই ২২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে ২২৮ রানের লক্ষ্যটাও দিতে পারত না বাংলাদেশ।
তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে রেকর্ড জুটিটা যদি না করতেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। অষ্টম উইকেটে রেকর্ড ৯২ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়ে দলকে দুই শর ওপর স্কোর এনে দেন তারা। আগের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ৮৪ রানের। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেপিয়ারে গড়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোহাম্মদ মিঠুন। তবে মাহমুদ উল্লাহ টানা দ্বিতীয় ফিফটি পেলেও আক্ষেপে পুড়েছেন তানজিম সাকিব। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেললেও ৫ রানের জন্য প্রথম ফিফটি পাননি এই পেসার। সাকিবের ৪৫ রানের বিপরীতে ৬২ রানে আউট হন মাহমুদ উল্লাহ। প্রথম ওয়ানডেতে করেছিলেন অপরাজিত ৫০ রান।
এর আগে টস হেরে তানজিদ হাসান তামিমের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হলেও তা বেশিক্ষণ টেকেনি। বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের শুরুটা হয়েছে যথারীতি সৌম্য সরকারকে দিয়ে। প্রথম ম্যাচে ১৯ রান করলেও আজ করতে পেরেছেন মাত্র ২ রান। বাঁহাতি ওপেনারের সঙ্গী হতে যেন তর সইতেছিল না লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের। লিটন-মিরাজের স্কোরই যে তার প্রমাণ।
টানা ১২ ওয়ানডেতে ফিফটি করতে না পারা লিটনের ৪ রানের বিপরীতে ১ রানে আউট হয়েছেন অধিনায়ক মিরাজ। প্রথম ওয়ানডেতে ৭৬ রান করা বাংলাদেশের অধিনায়ক অবশ্য ড্রেসিংরুমে দ্রুত ফেরার জন্য ভাগ্যকেও একটু দুষতে পারেন। কেননা জেডন সিলসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে বলটা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ছেড়ে দেওয়া বলটিই শেষ মুহূর্তে ভাসানো ব্যাট ছুঁয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়।
দলীয় ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সবকটি নেন পেসার সিলস। সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রাখছিলেন তানজিদ তামিম। তবে তার ইনিংসটিও খুব বেশি দূর পথ পাড়ি দিতে পারেনি। ৪৬ রানেই থেমে যায়। তবে ক্রিজে যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই করছিলেন। ১৩৯.৩৯ গড়ে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন প্রথম ম্যাচে ৬০ রান করা বাঁহাতি ওপেনার।
পাঁচে নেমে ২৪ রানের ইনিংস খেলে দলের হাল ধরার চেষ্টা করছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু তার বিদায়ের পর আরেকটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। মুহূর্তের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১১৫ রান। এতে করে বাংলাদেশ ১৫০ রান করতে পারবে কিনা তা নিয়ে একটা শঙ্কা ছিল। পরে রেকর্ড জুটিটা করে সেই শঙ্কাটা দূর করেন মাহমুদ উল্লাহ-সাকিব। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার পেসার সিলস।

ট্যাগ: