১০০ টাকায় ব্যাগভর্তি সবজি কিনতে মানুষের ভিড়

Voice of Dhaka
আপডেটঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৪ | ৩:২৩ অপরাহ্ণ                             ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
Voice of Dhaka
আপডেটঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৪ | ৩:২৩ অপরাহ্ণ                             ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
Link Copied!

জয়পুরহাট প্রতিনিধি : বিজয়ের মাস উপলক্ষ্যে জয়পুরহাট শহরে সপ্তাহে দুই দিন ১০০ টাকায় ব্যাগভর্তি সবজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারের অর্ধেকেরও কম দামে সবজি কিনতে পেরে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ ভীষণ খুশি। শহরের পাঁচবিবি সড়কের শিবমন্দির মার্কেটে ব্যক্তি উদ্যোগে চালু হওয়া রাজু বাবুর ‘একটু সুখের বাজার’ থেকে ১০ ধরনের তরকারির এই বিশেষ প্যাকেজ পাওয়া যাচ্ছে। দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ বাজার চালু থাকে, যেখানে নতুন আলু, বেগুন, মুলা, সিম, বরবটি, কাঁচা মরিচ, বাধাকপি, ফুলকপি, ধনেপাতা ও পালংশাকসহ নানা সবজি পাওয়া যায় মাত্র ১০০ টাকায়।বাজারে সবজির দাম আকাশছোঁয়া হলেও এখানে অনেক কম দামে সবজি কেনার সুযোগ পাচ্ছেন মানুষ।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন কাঁচা সবজি স্তূপ করে রাখা হয়েছে, আর ক্রেতারা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে সবজি কিনছেন। স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় উদ্যোক্তা রাজু বাবু এই বাজার পরিচালনা করছেন।শহরের বাদাম বিক্রেতা সুরুজ মিয়া বলেন, সারাদিন বাদাম বিক্রি করে চাল কিনলেও তরকারি কেনার টাকা থাকে না। কিন্তু এখন ১০০ টাকায় এত সবজি পাচ্ছি যা আগে কল্পনাও করতে পারিনি।
একইভাবে গৃহবধূ তাসমিনা আক্তার বলেন, বাজারে নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি হলেও এখানে ৫০০ গ্রাম আলুসহ আরও ৯ ধরনের সবজি পাচ্ছি মাত্র ১০০ টাকায়। এটা না হলে প্রায় ৩০০ টাকা লাগত।
উদ্যোক্তা রাজ কুমার খেতান ওরফে রাজু বাবু বলেন, কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, শুধু সাধারণ মানুষকে সহায়তা করতেই ‘একটু সুখের বাজার’ চালু করেছি।
বাজারে সিন্ডিকেট করে সবজির দাম বাড়ানো হচ্ছে। সেই সিন্ডিকেট ভাঙতেই আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি, আমাকে দেখে আরও বিত্তবান এগিয়ে আসবেন। আগামী রমজান মাস পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালানোর ইচ্ছে আছে। তখন ছোলা, খেজুর ও ফলমূলও সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করব।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী বলেছেন, বাজারের অর্ধেক দামে সবজি বিক্রির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এমন মহৎ উদ্যোগ নেওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। ‘একটু সুখের বাজার’ ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনেও স্থান পেয়েছে। বিজয়ের মাসে এমন উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য এক আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্যাগ: