গুনাহ থেকে মুক্তির দোয়া

Voice of Dhaka
আপডেটঃ জুন ১, ২০১৮ | ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ                             ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
Voice of Dhaka
আপডেটঃ জুন ১, ২০১৮ | ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ                             ই-প্রিন্ট ই-প্রিন্ট
Link Copied!

তাওবা এবং ইগতিগফার আল্লাহর দরবারে এক অফুরন্ত রহস্যের নাম। যে রহস্য শুধুমাত্র তাওবাগ্রহণকারী এবং ক্ষমার অধিকারীই ভাল জানেন। আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে খুশী হন তখনই যখন বান্দা ভুল করে গুনাহ করার পর আবার ক্ষমার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ফিরে যায়। ফরিয়াদ করে হে আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আসুন আমরা তাওবা ও ইসতিগফারের

গুরুত্বপূর্ণ হাদিস ও দু’টি দোয়া শিখে নিই-
হযরত আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি- আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান! যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমার কাছে দোয়া করতে থাকবে এবং আমার কাছে প্রত্যাশা করবে ততক্ষণ আমি তোমার গুনাহ ক্ষমতা করতে থাকব, তোমার গুনাহের পরিমান যত বেশিই এবং যত বড়ই হোক না কেন। এ গুনাহের পরিমাণ যদি আসমান পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং তুমি যদি আমার কাছে ক্ষমা চাও, তবে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিবো। এ ব্যাপারে আমি কোনো পরোয়া করব না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি আমার কাছে পৃথিবীর সমান গুনাহসহ উপস্থিত হও এবং আমার সাথে কাউকে শরীক না করে থাক, তাহলে আমিও ঠিক পৃথিবীর সমান ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে এগিয়ে যাব। (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ, দারেমি, মুস্তাদরেকে হাকেম)

সুতরাং হে আল্লাহর বান্দা! ভয় কিসের? আসুন আমরা আল্লাহর দরবারে তাওবা করি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।

দোয়া’টি হচ্ছে-
ক. হাদিসে এসেছে-
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বলে “আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি”- তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়, এমনকি সে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করার মত গুনাহ করলেও।’ (তিরমিজি, তা’লিকুর রাগীব, মুস্তাদরেকে হাকেম)

খ. অন্যত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সাইয়্যিদুল ইসতিগফার হল- বান্দা বলবে : “আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বী লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আ’হদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্বাতু, ওয়া আউযুবিকা মিন র্শারিমা সানা’তু আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবুউ বিযামাবী ফাগফিরলী ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা”- যে ব্যক্তি পূর্ন বিশ্বাস সহকারে এ দোয়া দিনের বেলা পাঠ করে এবং সন্ধ্যা হবার পূর্বেই যদি মারা যায় তবে সে জান্নাতী। আর যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ বিশ্বাস সহকারে রাতের বেলা এ দোয়া পাঠ করে এবং সকাল হবার পূর্বেই মারা যায়, তবে সে জান্নাতী। (বুখারি)

সুতরাং আমরা তাওবা করব ইগতিগফার পড়ব। কেননা মুক্তির একমাত্র পথই হচ্ছে আল্লাহর দরবারর তাওবা এবং ইসতিগফার। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “পাপের কাফ্ফারা হল অনুতাপ। আর অনুতাপই হচ্ছে তাওবা।” মুসনাদে আহমাদ, তাবরানী, ইবনু মাজাহ)

সুতরাং আমরা উপরোক্ত তাওবার দোয়া দুটি পড়ব আল্লাহর দরবারর রোনাজারির মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করব। আল্লাহ আমাদের ই’তিকাফের পূর্বে মাগফিরাতের দশকের মধ্যেই ক্ষমা করে জান্নাত কবুল করুন আমীন।

তথ্যসূত্র : সহি বুখারি, মুসলিম, জামে আত-তিরমিজি, সুনানে ইবনু মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, দারেমি, মুস্তাদরেকে হাকেম, তাবরানী, তা’লিকুর রাগীব

ট্যাগ: